On the sad state of Bangladesh’s maritime sector

1 comment

 Minar Rashid 21(E)

মেহেরুল স্যার (১৬) এবং জিল্লুরের( ২৬) সাহসী ও খোলামেলা  লেখাটি  অনেক ভাবনার খোরাক জুগিয়েছে ।  দেশের মেরিটাইম সেক্টরটিকে শিরোনামের একটি বাক্যে প্রকাশ করা সম্ভব। কাউকে নির্দিষ্টভাবে দোষারূপের জন্যে এই লেখাটি লিখি নাই  । বর্তমান পরিস্থিতি আমাদের সমষ্টিগত  অবহেলা ও  সম্মিলিত অপরাধের সিকোয়েন্সিয়াল কনসিকোয়েন্স  । কাজেই আত্মতৃপ্তি ও আত্মতুষ্টির পরিবর্তে  সার্বিক আত্ম সমালোচনা জরুরি হয়ে পড়েছে । অতীতের কিছু ভুল শোধরানো অনিবার্য হয়ে দেখা দিয়েছে ।

পাপীকে নয় , পাপকে ঘৃণা করার স্পিরিট নিয়েই আমাদের সর্বাঙ্গে ব্যাথার একটা জায়গা থেকে ওষুধ প্রয়োগ শুরু করতে হবে ।

আমার গত লেখায় একটা তথ্যগত ভুল ছিল । ছোটভাই জিল্লুর (২৫) একটি ব্যক্তিগত ম্যাসেজ পাঠিয়ে  তা ধরিয়ে দিয়েছেন । ২২ ও ২৩ ব্যাচের দুজন ভাইয়ের সাহায্য নিয়ে তথ্যটি দিলেও অনিচ্ছাকৃত এই ভুলটি হয়ে গেছে । আমি জানিয়েছি ২৩তম ব্যাচ পর্যন্ত ক্যাডেটদের খাওয়া দাওয়ার টাকা দিতে হয় নি । প্রকৃতপক্ষে তা হবে ২৬তম ব্যাচের জুনিয়র লাইফ  পর্যন্ত  । মরহুম ক্যাপ্টেন এম এল রহমান স্যার তার পুরো সময় পর্যন্ত তা ঠেকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন বলে তাঁর সুযোগ্য সন্তান জিল্লুর জানিয়েছেন । আল্লাহ তা আলা আমাদের এই মহান শিক্ষককে এর উত্তম প্রতিদান দান করুন  , তাঁর  সমস্ত মানবিক দুর্বলতা ও গোনাহ খাতা মাফ করে জান্নাতুল ফেরদাউস  নসীব করুন । আমীন ।

আমরা যে যাই করি না কেন, নিজ নিজ কৃত কর্ম বা  আমলনামা কেউ ঢেকে রাখতে পারবো না । কোথাও না কোথাও আমাদেরকে এর মুখোমুখি হতে হবে । কোথাও না কোথাও সুদে আসলে তা উসূল করতে হবে । আল্লাহর হক আল্লাহ ইচ্ছে করলে ক্ষমা করে দিতে পারেন কিন্তু বান্দার হক তিনি কখনই ক্ষমা করবেন না ।

দেশের অন্য কোন সরকারী প্রতিষ্ঠানে এত অধিক টাকা খরচ করে লেখাপডা করতে হয় না । কিন্তু সরকারী মেরিন একাডেমিতে কেন এত টাকা দিয়ে পড়তে হয় – সেই প্রশ্নটি আমরা কেউ  উত্থাপন করছি  না । মেডিকেল এবং বুয়েটের অনেক ছাত্র দেশে বিদেশে আমাদের চেয়ে অনেক ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । সেই কারণ দেখিয়ে তো তাদের শিক্ষার নিমিত্তে  এত টাকা খরচ করতে হচ্ছে না ?  দেশের মেধাবীদের উৎসাহ স্বরূপ জাতির পক্ষ থেকে এই সুযোগটি দেয়া হচ্ছে । তবে সেই  সুযোগটি থেকে মেরিটাইম শিক্ষাকে কেন বাদ দেয়া হলো ? এখানে বলার কেউ ছিল না , মনে হচ্ছে এখনও কেউ নেই । অথচ আমাদের অর্থনীতিতে এবং বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করতে  মেরিটাইম শিক্ষার কন্ট্রিবিউশন অন্য কারো চেয়ে কম নয় ।

সরকারী প্রতিষ্ঠান পুরাপুরি বন্ধ করা সম্ভব হবে না । বর্তমান প্রেক্ষাপটে মেরিন একাডেমির দুই বছরের কোর্সটিকে চার বছরে রূপান্তরিত করলে আগামী দুই বছর ইনটেইক বন্ধ রাখলেও  ( পাশ করা ক্যাডেটদের চাকুরির সুবিধার্থে ) কোন সমস্যা হবে না । তজ্জন্যে বর্তমানে অধ্যয়নরত দুটি ব্যাচের উপর অতিরিক্ত খরচ না চাপিয়ে একই খরচে চার বছর পড়ানো হোক । বর্তমান সমস্যার একটি সুন্দর সমাধান এর মাধ্যমে বেরিয়ে আসতে পারে । কিন্তু এই পরিস্থিতি থেকে যেন প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলো  কোন অনৈতিক সুযোগ গ্রহন করতে না পারে – সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি রাখা দরকার । ইতোমধ্যে  যে সব প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান তাদের ক্যাডেটদের চাকুরির ব্যবস্থা করতে পারে নি – তাদের সেই অনুমোদন অটোমেটিক বাতিল হয়ে যাওয়ার কথা ।  আমাদের কর্তৃপক্ষকে সেদিকে দৃষ্টি দেয়ার জন্যে অনুরোধ জানাচ্ছি ।

-মিনার রশীদ

  1. Sharif 23/E says:

    Minar Rashid Sir is from 21st batch Engineering…