One alumni Abu Bakkar Siddique (44N) killed by a crowd

Comments Off on One alumni Abu Bakkar Siddique (44N) killed by a crowd

Suspecting them as robbers, 4 persons were manhandled by a mob and killed in Hatia. One of them happened to be one of our alumni.

নোয়াখালীর হাতিয়ায় ডাকাত বলে গণ পিটুনির নামে নির্মমভাবে মেরে ফেলা আবু বক্বর ছিদ্দিক আর কেউনা, আমাদের মেরিন একাডেমীরই ৪৪তম ব্যাচের একজন নটিক্যাল ক্যাডেট, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের স্থায়ী কর্মকর্তা!! ছিদ্দিক বিএসসির বাংলার সৌরভ জাহাজ থেকে সর্বশেষ সেকেন্ড অফিসার হিসেবে গত অক্টোবরে সাইন অফ করে ছুটিতে যায়। আমরা এ হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।

===============================================
সম্মানীত মেরিনার ও পাঠক সমাজ,
আপনারা নিশ্চয়ই শুনেছেন গত ১১ই মার্চ শুক্রবার দিবাগত রাতে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া দ্বীপের চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় স্থানীয় লোকজন ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে চারজন লোককে হত্যা করেছে। নিহতরা হলেন জয়পুরহাট সদর উপজেলার আবু বকর ছিদ্দিক (২৭), গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাইফুল ইসলাম (২২), দিনাজপুরের আশিকুর রহমান (২২) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের আকবর আলী (২৪)। এ চারজনের মধ্যে আবু বক্বর ছিদ্দিক হচ্ছে আমাদের মেরিন একাডেমীর ৪৪তম ব্যাচের ক্যাডেট। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ও সরকারি শিপিং অফিসের রেকর্ড অনুযায়ী সে বিএসসির অয়েল ট্যাংকার বাংলার সৌরভ জাহাজে সেকেন্ড অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিল। তার সিডিসি নাম্বার C/0/5971।
গত অক্টোবরের ২৫ তারিখ বক্বর সাইন অফ করে ছুটিতে যায়। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের স্থায়ী এ কর্মকর্তাকে হাতিয়া দ্বীপে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের দাবি স্থানীয় জনগণ তাদেরকে একটি নৌকাসহ ডাকাত সন্দেহে আটক করে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে ফাঁড়িতে নিয়ে বেঁধে রাখে। এরপর তারা তাদের নৌকাতে আগ্নেয়াস্ত্র আছে বলে স্বীকার করলে পুলিশ নৌকায় অনুসন্ধান চালাতে যায়। তখন তাদের বাকি সহযোগিরা এসে পুলিশের উপর আক্রমণ করলে স্থানীয় জনগণ ধাওয়া দেয়। এক পর্যায়ে গণ পিটুনিতে তাদের মৃত্যু হয়। এ সংক্রান্ত বিস্তারিত খবর আমরা মেরিটাইম সংবাদের আগামী সংখ্যার(সোমবার) প্রিন্ট সংস্করণে প্রকাশ করব।
বক্বরের বন্ধু ও সহকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে সে একজন নিরীহ ও স্বল্পভাষী মানুষ ছিল। কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকার কথাও কেউ বলতে পারেনি। তবে চাকুরীর ফাঁকে সে তাবলীগ জামাআতে নিয়মিত সময় দিত যা আমাদের মেরিনারদের অনেকেই করে থাকেন। নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপে যাওয়ার কারণ হয়ত তাবলীগ।

উল্লেখ্য, গণ পিটুনিতে মৃত্যুর কথা বলা হলেও আবু বক্বরের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন ছিলনা। শুধুমাত্র গলায় একটি মোটা দাগ ছিল। নাক দিয়ে রক্ত ঝরা নিথর দেহ দেখে প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণা শ্বাসরোধেই তার মৃত্যু। যাইহোক, আমরা আরও তথ্য সংগ্রহ করছি যা পত্রিকায় ছাপানো হবে। আমরা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। কারণ স্থানীয় পুলিশ ও জনগণ ধাওয়া দেয়ার পর তাদের মৃত্যু হলেও পরে পুলিশ ৫০০ লোকের বিরূদ্ধে মামলা করেছে।

মেরিন একাডেমীর ৪৪তম ব্যাচের ক্যাডেট, আমাদের সহকর্মী আবু বক্বরের মৃত্যুতে আমরা মর্মাহত। আমরা চাই গণপিটুনি নাকি অন্য কোনভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তার কারণ খুঁজে বের করা হোক। শুধুমাত্র সন্দেহ করে একজন চাকুরীরত সরকারি কর্মকর্তাকে এভাবে মেরে ফেলা হবে তা অগ্রহনযোগ্য। আমরা এ হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচার দাবি করছি। আমাদের প্রত্যাশা এ নির্মম হত্যার বিরূদ্ধে মেরিন একাডেমী, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, সরকারী শিপিং অফিস, মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স এসোসিয়েশনসহ অন্যান্য সহযোগি সংস্থাসমূহ বিবৃতি দিয়ে আবু বক্বর ছিদ্দিক যে তাদের ক্যাডেট ও অফিসার তা নিশ্চিত করবে। একজন সার্টিফায়েড কর্মকর্তার করুণ মৃত্যুতে তার পরিবারের আশার প্রদীপ নিঃসন্দেহে নিভেই গেল। আমরা সবাইকে এ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানাচ্ছি।
=================================================
Courtesy Maritime Sangbad

Comments are closed.